বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : স্ট্রাইকে ইশ সোধি। শেষ ওভারে ১৩ রানের প্রয়োজন ছিল, শেষ বলে তা কমান ৭ রানে। ৬ মারলেই স্কোর সমান। শ্রীলঙ্কাকে অবাক করে দিলেন সোধি। প্যাড বরাবর দাসুন শানাকার বল ডিপ মিড উইকেট দিয়ে সরাসরি বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন। ম্যাচ গড়ালো সুপার ওভারে।
রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ফল বের হলো সুপার ওভারে। যেখানে জিমি নিশাম ও ড্যারিল মিচেল ব্যাটিং শুরু করেন। বোলিংয়ে ছিলেন মাহিশ ঠিকশানা। দুটি উইকেট হারিয়ে ওই ছয় বলে মাত্র ৮ রান করে নিউ জিল্যান্ড। কুশল মেন্ডিস নেমে ১ রান নেন। দ্বিতীয় বলে চারিথ আসালাঙ্কা ছক্কা মেরে সমতা ফেরান। পরের বলে চার মারেন তিনি। এক ওভার এলিমিনেটরে নিউ জিল্যান্ডকে হারায় শ্রীলঙ্কা। চলতি সফরে এটাই তাদের প্রথম জয়।
অকল্যান্ডে আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে করে ১৯৬ রান। জবাবে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান করে নিউ জিল্যান্ড।
ইনিংসের প্রথম বলেই পাথুম নিশাঙ্কা ডাক মারেন, অ্যাডাম মিলনের বলে টম ল্যাথামকে ক্যাচ দেন লঙ্কান ওপেনার। ওই ধাক্কা কুশল মেন্ডিস সামাল দেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় ওভারে ১৬ ও পরের ওভারে ২২ রান তোলেন তিনি কুশল পেরেরাকে নিয়ে। মাত্র ১৯ বলে ৪৭ রানের জুটি ভেঙে যায় চতুর্থ ওভারে। ৯ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৫ রান করে হেনরি শিপলির শিকার হন মেন্ডিস। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ছোট্ট ঝড় তুলে ফিরে যান। ১০ বলে একটি করে চার ও ছয়ে করেন ১৫ রান।
এরপর চতুর্থ উইকেটে হাল ধরেন পেরেরা ও আসালাঙ্কা। দুজনের জুটি একশ ছাড়ায়। দুই প্রান্ত অদলবদল করে রান বাড়ান তারা। ৬৮ বলে ১০৩ রানের জুটি ভেঙে যায় ১৭তম ওভারে। ৪১ বলে ২ চার ও ৬ ছয়ে ৬৭ রানে থামেন আসালাঙ্কা। পেরেরাও ওই ওভারে পেয়ে যান ফিফটি। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পর থমকে যায় রানের চাকা।
১৬ থেকে ১৯ ওভারে রান আসে মাত্র ১১ রান। শেষ ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দুটি ছক্কায় রান দুইশর কাছাকাছি যায়। ১১ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪৫ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৫৩ রানে খেলছিলেন পেরেরা।
লক্ষ্যে নেমে প্রথম সাত বলে দুই ওপেনার চ্যাড বাওয়েস ও টিম সেইফার্ট মাঠ ছাড়েন। ৩ রানে ২ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। ল্যাথামকে (২৭) নিয়ে ৬৩ ও মার্ক চ্যাপম্যানের (৩৩) সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে স্বস্তি ফেরান মিচেল।
১৪৪ থেকে ১৫৬ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে আবার বিপদে পড়েছিল নিউ জিল্যান্ড। তাতে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৪১ রান। ১৮তম ওভারে দুই ছয় ও এক চারে ১৮ রান তুলে রাচিন রবীন্দ্র ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান। পরের ওভারে তার আরেকটি চার, একটি উইকেটের বিনিময়ে আসে ১০ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে রাচিনের আউটে স্বাগতিকদের জয়ের আশা ভেস্তে যায়। ১৩ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ২৬ রান করেন তিনি। কিন্তু নন স্ট্রাইকে শিপলিকে রেখে রান বের করে নেন সোধি এবং শেষ বলের ছক্কায় ফেরান সমতা।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন আসালাঙ্কা।